সিগন্যাল vs সিস্টেম - কীভাবে পাকিস্তান জিতে নিল!

সিগন্যাল vs সিস্টেম - কীভাবে পাকিস্তান জিতে নিল!

Table of Contents

৭ই মে, ২০২৫ মধ্যরাতে, ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন হামলা শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল সীমিত পরিসরে একটি চমকপ্রদ “মেসেজ” পাঠানো—যুদ্ধ নয়, কৌশল। কিন্তু সেই কৌশল শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হাতে পরিণত হয় একতরফা পরাজয়ে।

এই যুদ্ধ ছিল না প্লেন vs প্লেন। এই যুদ্ধ ছিল ‘সিগন্যাল vs সিস্টেম’। আর এই যুদ্ধে পাকিস্তান যে হাতিয়ার ব্যবহার করেছিল, তা ছিল ২৪ নং স্কোয়াড্রন—"Blinders" নামে পরিচিত একটি নীরব, কিন্তু ভয়ঙ্কর ইউনিট। দুইটি Dassault Falcon DA-20 ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমান দিয়ে গঠিত এই স্কোয়াড্রন কখনোই ভারতের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি। তবু তারাই বদলে দেয় পুরো যুদ্ধের নিয়ম।

যুদ্ধের শুরু: ভারত আক্রমণ করে

পাকিস্তান অপেক্ষা করে

রাত ১:০৫ মিনিটে ভারত রাফাল, সু-৩০ এমকেআই ও ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা শুরু করে। ভেবেছিল তারা দ্রুত টার্গেট হিট করে সরে যাবে। আকাশে ঘুরছিল ইসরায়েলি Heron ড্রোন, লক্ষ্যবস্তুর ছবি তোলার জন্য। ভারত বেছে নিয়েছিল পাহাড়ি রাডার শ্যাডো রুট—কৌশলগতভাবে দারুণ। কিন্তু এক জিনিস তারা বোঝেনি: তারা প্রবেশ করেছে এক ইলেকট্রনিক ‘মৃত্যুকূপে’।

খেলায় নামে Blinders

পাকিস্তানের ২৪ নম্বর স্কোয়াড্রনের DA-20 বিমানগুলো সেসময় ছিল নিজস্ব আকাশসীমায়, কিন্তু তারা আক্ষরিক অর্থেই 'দেখছিল' ভারতীয় হামলাকারীদের প্রতিটি পদক্ষেপ। তারা শুধু তথ্য সংগ্রহ করেনি, তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক কাঠামো ভেঙে দেয়

Rafale's Multi Function Display (MFD)

মাল্টি-ফাংশন ডিসপ্লে বন্ধ, ডেটা লিংক বিচ্ছিন্ন, উইংম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে রাফাল পাইলটরা। তারা ফিরে যায় পুরনো রেডিওতে, চিৎকার করে লোকেশন জানাতে থাকে, কিন্তু মাঝ আকাশে একের পর এক বিমান অদৃশ্য হতে থাকে।

কৌশলগত কাটা

একেবারে মাথা উড়ে যায়

এটি ছিল একটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শিরচ্ছেদ। পাকিস্তানের সাধারণ জ্যামার বা দৃশ্যমান প্রতিরক্ষা এখানে ব্যবহৃত হয়নি। শুধু একদম নিখুঁত কৌশলে ভারতীয় কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

IAF-এর Meteor মিসাইল যখন টার্গেট খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়, তখন পাকিস্তানের PL-15E মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত করে। আরেকদিকে, Erieye AEW&C বিমানের নির্দেশনায় Pakistan J-10C ফাইটাররা মাপা লাইন ধরে শিকার ধরতে থাকে।

ভারত পড়ে যায়

একতরফা পতন

প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই, একাধিক ভারতীয় জেট ধ্বংস হয়ে যায়। পাম্পোরে একটি বিশাল ড্রপ ট্যাংক পাওয়া যায়—স্পষ্টতই পালানোর চিহ্ন। একটি MiG-29 ধ্বংস হয় আকলিয়ান কালানের কাছে, আরেকটি মিরাজ/রাফাল উড়ে যায় শ্রীনগরে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—একটিও ডগফাইট হয়নি। যুদ্ধ হয়েছে একেবারে ‘Ether’-এ, সিগন্যাল আর স্পেকট্রামে। ভারতের দামী যুদ্ধবিমানগুলো স্রেফ টার্গেটে পরিণত হয়।

শিক্ষা: প্ল্যাটফর্ম নয়, স্থাপত্যই শক্তি

চীনা পর্যালোচনায় স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছিল—ভারতীয় ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ DA-20 বিমানের ইলেকট্রনিক আধিপত্য। তারা VHF গার্ড ফ্রিকোয়েন্সি ব্ল্যাঙ্ক করে, GAGAN ন্যাভিগেশন জাল করে, এমনকি ভারতের S-400 প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কেও হস্তক্ষেপ করতে পেরেছিল।

ভারতের মিডিয়া দোষ দেয় ‘পাইলট ভুল’কে, কিন্তু প্রযুক্তি ও বাস্তবতা বলছে—ভারত হারিয়েছে কারণ তারা সিস্টেম ওয়ারফেয়ারের জন্য প্রস্তুত ছিল না।

পাকিস্তানের বিজয়

"Blinders"-এর নেতৃত্বে

এই লড়াই প্রমাণ করে, আধুনিক যুদ্ধ মানে এখন প্লেন নয়, প্রযুক্তির নকশা। Pakistan Air Force নিজের আকাশসীমা ছাড়াই, কেবল সিগন্যাল আর্কিটেকচারের মাধ্যমে ভারতীয় আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেয়।

২৪ নং স্কোয়াড্রনের এই বিজয় শুধু এক রাতের নয়। এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য এক শিক্ষা:
“সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ মানে সার্বভৌম নিয়ন্ত্রণ।”

“প্রথমে ঢুকে, শেষ পর্যন্ত থেকে যাও”—এটাই Blinders-এর শক্তি।

Read more

অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা (Proportional Representation বা PR)

অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা (Proportional Representation বা PR)

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন একটি পদ্ধতি যেখানে ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন করা হয়। এটি কিছু দেশে রাজনৈতিক বৈচিত্র্য বাড়াতে সহায়ক হয়েছে, আবার কোথাও সরকার গঠনে জটিলতা তৈরি করেছে।

By Kabir